মোঘল আমলে বর্তমান বাবু পাড়া ও পৈল পাড়া গ্রামদ্বয়ের উত্তর প্রান্তে গোমতীর শাখা ধনাগোদা নদীর তীরে অবস্থিত লালার হাট বাজারটি নদী ভাঙ্গনে বিলীন হলে কলাদী গ্রামের উত্তর প্রান্তে উপরোক্ত নদীর তীরে ‘‘ বৈরাগীর হাট ’’ নামে একটি বাজার মিলায় । যা দেখে ঈষানিত হয়ে ফরিদপুরের জমিদারের জমিদারী বেড়ে মতলব জমাদার বৈরাগীর হাটের দক্ষিনে পশ্চিম আংশে নিজ নামে আরেকটি বাজার মিলায়। কিছুকাল দুটি বাজারই তীব্র প্রতিযোগিতায় চলার পর জমাদারের হাট মতলব নামে জনপ্রিয়তা অর্জন করে। আর বৈরাগীর হাট নামটি বিলুপ্ত হয়। এভাবেই মতলব জমাদারের নাম অনুসারে মতলব এর নাম করন করা হয়। ১৯১৮ সালের ৯ আগষ্ট মতলব গেজেটভূক্ত হয়। গেজেট নম্বর ২৩৮ । ঐতিহাসিকদের মতে মতলব উপজেলার নামকরন করা হয় প্রায় ১২০ বছর পূর্বে। হিন্দু প্রধান এলাকা হিসাবে এখানে অনেক বাউল, বৈরাগী ও তান্ত্রীদের আখড়া ছিল। ১৯০০সালে গর্ভমেন্ট চাঁদপুর সার্কেল বিভক্ত করে মতলব সার্কেল সৃষ্টি করে। ফলে ২২টি ইউনিয়ন নিয়ে ঐ থানার অগ্রযাত্রা শুরু করে। স্বাধীনতা উত্তর মতলব এলাকার জনগনের দীর্ঘ দিনের দাবী , মতলব উত্তর একটি স্বতন্ত্র থানার সৃষ্টি করা হউক।
২০০০ সালের ৩০ এপ্রিল ১টি পৌরসভা এবং ১৩টি ইউনিয়ন নিয়ে স্বতন্ত্র উপজেলা হিসেবে মেঘনা-ধনাগোদা নদী পরিবেষ্টিত দ্বীপাঞ্চল মতলব উত্তর উপজেলার যাত্রা শুরু হয়। পরবর্তীতে একই বছরের ৫ সেপ্টেম্বর মতলব উত্তর নব-সৃষ্ট উপজেলা হিসাবে কার্যক্রম শুরু করে। পাশ্ববর্তী মতলব উপজেলার উত্তর দিকে হওয়ার ফলে এ উপজেলার নামকরণ করা হয় মতলব উত্তর। মতলব উত্তর এর রয়েছে ঐতিহাসিক নিদর্শন, শিক্ষা, সংস্কৃতি ও ধর্মীয় খ্যাতি । কৃষি উৎপাদনে সেচ প্রদান, বন্যার ক্ষয় ক্ষতি থেকে এলাকাবাসীকে রক্ষা , জলাবদ্ধতা নিরসন ও নদী ভাংঙ্গন থেকে পরিত্রাণের লক্ষ্যে ১৯৮৭-১৯৮৮ অর্থ বছরে নির্মিত হয় মেঘনা ধনাগোদা সেচ প্রকল্প । যা বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহৎ সেচ প্রকল্প । এর বৃত্তাকার ৬৪ কিঃ মিঃ। সেচ প্রকল্পের জন্য ১৭৫৮৪ হেক্টর জমি অধিগ্রহন করা হয়েছে । মতলব উত্তর উপজেলাটি উত্তর ও উত্তর পশ্চিম দিকে মেঘনা নদী ও পূর্ব দিকে প্রভাহিত ধনাগোদা নদী দ্বারা বেষ্ঠিত। পূর্বে দাউদকান্দি (কুমিল্লা) উত্তরে গজারিয়া (মুন্সিগঞ্জ) দক্ষিনে মতলব (চাঁদপুর) পশ্চিমে শরিয়তপুর ও মুন্সিগঞ্জ জেলা।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস